রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
আটক চাঁদ সেলিম।ছবি-সংগৃহীত
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ভিপি রাজিব ওরফে রেজাউল করিম রাজিব তালুকদার নামে এক যুবককে গণপিটুনিতে হত্যার দায়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামিসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার নিহতের বাবা আসু মিয়া তালুকদার ওরফে হাসু মিয়া বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- পাগলা জাউল্লাপাড়া এলাকার মোকলেস মিয়ার ৫ ছেলে মিঠুন, রাব্বি, ইয়াসিন, কাওসার ও মিলন।
এ ছাড়া আসামি করা হয়েছে সহযোগী আল আমিন ওরফে কেবলা আল আমিন, সানজিদা, চাঁদ সেলিম, ফয়সাল, সলেমান ওরফে কুট্টি, আ. জলিল, মানিক ওরফে কুত্তা মানিকসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে।
এদের মধ্যে পুলিশ চাঁদ সেলিম ও সলেমান ওরফে কুট্টিকে গ্রেফতার করেছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ভিপি রাজিব ইন্টারনেটের ব্যবসার পাশাপাশি কবুতর পুষতেন। সোমবার দুপুরে কবুতরের খাবার কিনতে পাগলাবাজারে যাওয়ার পথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উল্লিখিত আসামিরা বেলা পৌনে ২টার দিকে জাউল্লাপাড়া এলাকায় গণপিটুনি দিয়ে রাজিবকে হত্যা করে।
এলাকাবাসী জানান, খুন হওয়া রাজিবও অপর একটি খুনের মামলার আসামি ছিল। আসামিরা একসময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মীর হোসেন মীরুর সমর্থক ছিলেন।
সম্প্রতি তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে চাঁদ সেলিম দলবল নিয়ে আলাদা গ্রুপ তৈরি করে পাগলা বউবাজার ও জাউল্লাপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে থাকেন।
একপর্যায়ে এক শ্রমিক লীগ নেতার আশ্রয় নেন চাঁদ সেলিম। এর পর মীরুকে প্রতিহত করতে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বেড়ান চাঁদ সেলিম। এতে একাধিক মামলা হয় চাঁদ সেলিম ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসী আরও জানান, রাজিবের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা আছে। তিনি এলাকায় দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতেন। তার নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনীও রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, পাগলার জাউল্লাপাড়া এলাকায় কাউসার নামে এক ব্যক্তিকে ২০১৬ সালে মারধর করে রাজিব ও তার সহযোগীরা। সেই মামলা তুলে নিতে কয়েক দিন ধরেই কাউসারকে হুমকি দিয়ে আসছে রাজিব।
সোমবার দুপুরে কয়েকজন সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে রাজিব জাউল্লাপাড়া এলাকায় কাউসারের বাড়ি যান। সেখানে গিয়ে মামলা তুলে নিতে কাউসারকে চাপ সৃষ্টি করেন রাজিব।
এ সময় কাউসারের লোকজন এসে রাজিব ও তার সহযোগীদের ধাওয়া করে। তখন সহযোগীরা পালিয়ে গেলে কাউসারকে গণপিটুনি দেয় এবং লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।
পরে স্থানীয় লোকজন রাজিবকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। সোমবার রাত ১১টায় ঢাকা মেডিকেল থেকে জানানো হয় রাজিব মারা গেছেন।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।